About

Dr. Muhammed Kamruzzaman

Connect

Ph.D. Scholar (NCD), BPT (Faculty of Medicine – University of Dhaka)
MPT (Neuro-GU) MDMR-BOU, CMT (India)
PGD Sports Medicine (BKSP-NU), BPEd, MPEd.

Physiotherapist, Medical Center and Adjunct Faculty
Physical Education and Sports Science Department, University of Chittagong.

CPRC (চট্রগ্রাম পেইন প্যারালাইসিস ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করে ২০০৬ সাল থেকে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে ফিজিওথেরাপিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ফিজিওথেরাপি), টেকনিশিয়ান সহ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সমন্বয়ে ইউরোপ-ইন্ডিয়ান যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ইলেক্ট্রোথেরাপি, দক্ষ ফিজিও হাতে ম্যানুয়াল থেরাপি সহ বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ থেরাপির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বাত-ব্যথা, আঘাত ও খেলাধুলায় আঘাতজনিত সমস্যা ও স্ট্রোক জনিত হ্যামিপ্লেজিয়া, প্যারালাইসিস, প্রতিবন্ধিতাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাব সেবা প্রদান করা হয়।

এখানে রোগীদের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন রোটারিয়ান ডা. মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান (পিটি), পিএইচএফ, এমপিএইচএফ, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (NITOR) / পঙ্গু হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান) থেকে ২০০৫ সালে ইন্টার্নশীপ সহ ৫ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি (বিপিটি) ডিগ্রি অর্জন করেন, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগে এক বছরের (১১/১০/২০০৫ইং থেকে ১০.১০.২০০৬ইং) পিজিটি করেন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত ফিজিওথেরাপি প্রফেশনাল ডিগ্রি কোর্সের লেকচারার অব ফিজিওথেরাপি ও পরিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ২৬.০৪.২০০৭ইং থেকে ২৭.১০.২০১১ইং পর্যন্ত। উপরোক্ত সময়ে ম্যানুয়াল থেরাপি ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া (MTFI) থেকে CMT কোর্স সম্পন্ন করেন। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর চিকিৎসা বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির অধীনে মাস্টার্স অব ফিজিওথেরাপি (এম পি টি) ডিগ্রি লাভ করেন। সেই সময় তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বি এম এ) তে খন্ডকালীন ফিজিওথেরাপি কন্সালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন ২০.০১.২০১৩ থেকে অদ্যাবধি, একইসাথে চট্রগ্রাম সেনানিবাসের ইস্টবেংগল রেজিমেন্টাল সেন্টার (EBRC) তে খন্ডকালীন ফিজিওথেরাপি কন্সালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ০১.০৪.২০১৩ইং থেকে ০৪.০৪.২০১৬ইং পর্যন্ত। একই সময় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি (BNA), চট্টগ্রামে ০১.০১.২০১৬ইং থেকে ৩১.১২.২০১৮ইং পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা স্পেশালিষ্ট ফিজিওথেরাপিস্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বি কে এস পি, বি ও ইউ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে পর্যায়ক্রমে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন স্পোর্টস মেডিসিন ডিগ্রি, মাস্টার্স অব ডিস্যাবিলিটি ম্যানেজম্যান্ট এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন (MDMR), ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এ্যাডুকেশন (BPEd), মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এ্যাডুকেশন (MPEd) ডিগ্রী অর্জন করেন। তাছাড়া তিনি মাস্কোলোস্কেলেটাল ও নিউরোলজিক্যাল বিভিন্ন কন্ডিশনের উপর আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়ভাবে গবেষণা করেন। যা বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এন জি ও তে ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ, পি কে এস এফ এর আওতাভুক্ত এন জি ও তে বার্ধক্য জনিত / প্রবীন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে চট্রগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলায় কন্সালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি ও স্ট্রোক রিহ্যাব সেন্টার ২০০৬ সাল থেকে পরিচালনা করে আসছিলেন।

২০১৯ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসাবে যোগদান করেন, একই সাথে ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স ডিপার্টমেন্টে স্পোটর্স মেডিসিন বিষয়সহ আরো কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন।

তাঁর পরিচালিত CPRC এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ রোগীগণ সল্প খরচে ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাব সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ যাতে সহজে এই সেবা নিতে পারেন এবং অতি অল্প সময়ে ও সল্প খরচে বাত ব্যথা স্ট্রোকজনিত হাত পা অবশ ও প্যারালাইসিস ও স্পোটর্স ইন্জুরি থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।

তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব, সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তিনি রোটারি ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনের দায়িত্বশীল পদে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নির্দেশনা অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র পেশা। মহান মুক্তিযুদ্ধ অবসানের পর যুদ্ধাহত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তৎকালীন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৯৭২ সালে আমেরিকান অধ্যাপক ডা. আর.জে.গার্স্ট এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে সরকারিভাবে ফিজিওথেরাপি ¯œাতক কোর্স চালু হয়। ১৯৭৮ সালে ২টি ব্যাচ ডিগ্রি লাভের পর কোর্সটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ইন্টার্ণশিপ সহ ৫ বৎসর মেয়াদী ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি (বিপিটি) প্রফেশনাল কোর্স ১৯৯৫ সালে চালু হয়। স্বতন্ত্র কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্টগণ পেশাগত রেজিস্ট্রেশন লাভের পর রেজিস্টার্ড ফিজিওথেরাপি প্র্যাক্টিশনার হিসাবে স্বাধীনভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য মহান জাতীয় সংসদের ২০১৮ ইং সনের ৭১নং আইন যাহা ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ইং গেজেট নথিভুক্ত এবং “বাংলাদেশ বিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮” নামে অভিহিত। এই আইন অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্টগণ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন এবং ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাব সেন্টার পরিচালনা করবেন।